অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তাদের সাক্ষাৎ হয়। এর আগে আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপদেষ্টাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘বন্যার বর্তমান ও পূর্বের পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যতে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা নিয়ে ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক হবে।’
এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশে চলা বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এক বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘আমরা দেখছি ত্রিপুরার গোমতী নদীর উজানে ডুম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে বর্তমান বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে। এটি তথ্যগতভাবে সঠিক নয়। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যবর্তী অভিন্ন নদীগুলোতে হওয়া বন্যা দুই দেশের অভিন্ন সমস্যা যা জনগণের দুর্ভোগের কারণ এবং এর সমাধানে পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।’
মন্ত্রণালয়ের ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গোমতী নদীর নিকটবর্তী এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে বছরের সবচেয়ে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। বাংলাদেশে বন্যা মূলত বাঁধের নিচের দিকের এই বড় জলাভূমির পানির কারণে হয়েছে। যেহেতু দুটি দেশের মধ্যে ৫৪টি অভিন্ন আন্তঃসীমান্ত নদী রয়েছে, তাই নদীর পানি সহযোগিতা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে মনে করে ভারত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলে, ‘আমরা দ্বিপক্ষীয় পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত আলোচনার মাধ্যমে পানিসম্পদ ও নদীর পানি ব্যবস্থাপনার সমস্যা ও পারস্পরিক উদ্বেগের সমাধান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।