সম্প্রতি আমদানি করা ৫০টি বিলাসবহুল গাড়ি খালাসের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে আটকা পড়েছে। এসব গাড়ি শুল্কমুক্ত সুবিধায় এনেছিলেন সাবেক সংসদ সদস্যরা। কিন্তু গাড়ি বন্দরে আসার আগেই সংসদ বিলুপ্ত হওয়ায় এখন আর গাড়িগুলো শুল্কমুক্ত সুবিধায় ছাড় করানো যাবে না। ফলে গাড়িগুলো কোটি টাকার মধ্যে আমদানি হলেও এখন এসব ছাড়াতে অন্তত ৬ কোটি টাকা করে শুল্ক দিতে হবে।
মঙ্গলবার বন্দরের কার শেডে গিয়ে দেখা গেছে, শেডের একটি লাইনে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে বিলাসবহুল গাড়িগুলো।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের কর্মকর্তারা বলেন, সংসদ সদস্য না থাকায় তারা এখন আর শুল্কমুক্ত গাড়ি ছাড়ের সুবিধা পাবেন না। এসব গাড়ি ছাড় নিতে হলে নির্ধারিত শুল্ক পরিশোধ করতে হবে। ৪ হাজার সিসির প্রতিটি ৮২৬ শতাংশ হারে শুল্ক দিতে হবে।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের কয়েকদিন আগে কয়েকজন সংসদ সদস্য তাদের গাড়ি খালাস নিয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদসহ কয়েকজন। তবে সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনসহ অনেক এমপি-মন্ত্রী তাদের গাড়ি খালাস করতে পারেননি।