রাফিয়াত রশিদ মিথিলা অভিনীত সবশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘কাজলরেখা’। কংকন দাসি চরিত্রে অভিনয় করে দারুণ প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। মাস দুয়েক আগে কলকাতায় মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত নতুন সিনেমা ‘অরণ্যর প্রাচীন প্রবাদ’। এই সিনেমায় অভিনয় করেও তিনি প্রশংসিত হয়েছেন।
আপাতত নতুন কোনো চলচ্চিত্র কিংবা ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন না দর্শকপ্রিয় এই অভিনেত্রী। তবে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে রাজপথে দেখা গেছে তাকে।
দ্য ডেইলি স্টারকে মিথিলা বলেন, অমার শিক্ষাটা হচ্ছে—অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করব। আমি দেখেছি অন্যায় হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের মারা হচ্ছে, প্রতিবাদ করেছি। আমার মনে হয়, সবারই অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করা উচিত। তাহলেই ভালো কিছু হবে।
‘মূল আন্দোলনটা করেছেন শিক্ষার্থীরাই। ধন্যবাদ ও ভালোবাসা পাওয়ার কৃতিত্ব তাদের। আমরা সমর্থন করেছি। চেষ্টা করেছি তাদের পাশে থাকার।’
এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়েছিলেন। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে রাস্তায় নেমেছিলেন। এটাই হওয়া উচিত। যেখানে অন্যায় সেখানেই প্রতিবাদ করতে হবে। তাহলেই দেশটা সুন্দর হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মিথিলা বলেন, যখন কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা হয়, তখন আমাদের সংহতি জানানো দরকার। যার পরিবারের সদস্য মারা গেছেন, তারাই অনুভব করছেন কতটা কষ্ট হচ্ছে, কত কী হারিয়েছেন। তাদের এই বেদনা সারাজীবন থেকে যাবে। এসব হত্যা যখন দেখেছি, মানবিক বিবেচনা থেকেই সোচ্চার হয়েছি।
এখনকার চাওয়া কী, জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রত্যাশা হচ্ছে অন্যায় যেন না হয়। বিনাকারণে মানুষ যেন আর মারা না যায়। ক্ষমতার অপব্যবহার যেন না হয়। সাম্যের দেশ হোক। সবাই যেন সমান অধিকার পাই।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মিথিলা বলেন, বন্যার এই সময়টাতেও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই নিজেদের সাধ্যমতো বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। এটাই বাংলাদেশ। বাংলাদেশটা সাম্যের হোক।
বন্যা পরিস্থিতির বিষয়ে এই অভিনেত্রী আরও বলেন, আমি আমার সাধ্যমতো করার চেষ্টা করছি। যখনই বন্যা হয়, চেষ্টা করি কিছু করতে। এবারও করছি। যতটুকু পারছি করছি। এখানেও দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই সাধ্যমতো পাশে দাঁড়াচ্ছেন। এমনটিই হওয়া উচিত।
সবশেষে নতুন করে কাজে ফেরার বিষয়ে মিথিলা বলেন, আপাতত অভিনয়ে ফেরার মতো মানসিক অবস্থায় নেই।