নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু তার দলীয় কর্মীদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার বিকেলে বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ এলাকায় হামলার শিকার এই বিএনপি নেতা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এই হামলার পেছনে মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি (বহিষ্কৃত) আতাউর রহমান মুকুল ও সাবেক সভাপতির ছেলে নাসিক কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশার ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খানের।
তবে, অভিযুক্তরা বলছেন, দলীয় নেতা-কর্মীদের মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করায় দলের সংক্ষুব্দ একদল কর্মী তাকে মারধর করেছে।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন পোশাক শ্রমিক মিনারুল ইসলামের নিহতের ঘটনায় গত মঙ্গলবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন তার ভাই নাজমুল হক। ওই মামলায় আওয়ামী লীগ নেতাদের পাশাপাশি আসামি করা হয় বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুলকে। এই মামলায় তাকে জড়ানোর পেছনে সাখাওয়াত ও টিপুর ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন মুকুল।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় লোকজন ও বিএনপির কয়েকজন নেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে বন্দর উপজেলার তিনগাঁও এলাকায় একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে অনুসারী কর্মীদের নিয়ে যাচ্ছিলেন আবু আল ইউসুফ খান টিপু। নবীগঞ্জ এলাকায় তিনি হামলার শিকার হন।
মারধরের একটি ভিডিওতে তাকে রাস্তায় ফেলে পেটাতে দেখা যায়।
আহত অবস্থায় টিপুকে শহরের খানপুর এলাকার নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন তিনি।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত বলেন, ‘তাঁর (টিপু) শারীরিক অবস্থা ভালো না। তার ঘাড়ে একটি ধারালো অস্ত্রের গুরুতর আঘাত রয়েছে। শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে সে।’
হামলার ঘটনায় টিপু ছাড়াও তার সাথে থাকা আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানান সাখাওয়াত।
এদিকে, যোগাযোগ করা হলে আতাউর রহমান মুকুল বলেন, ‘তাদের সাথে কিছু থেকে কিছু হলেই আমার নাম বলে। টিপুর তো মাইর খাওয়ার কথাই ছিল। সে দলের নেতা-কর্মীদের হত্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছিল। অনেক নেতা-কর্মী তার উপর ক্ষুব্দ। তাদেরই কেউ কেউ সংক্ষুব্দ হয়ে আজকে তাকে মারধর করেছে। এতে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নাই।’
অভিযোগ অস্বীকার করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশাও।
তবে, চাঁদা দাবির অভিযোগ প্রসঙ্গে কথা বলতে টিপুর মুঠোফোনের নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।