নৌকাতে পাল নাই
গরুটানা হাল নাই
খড়ে ছাউয়া চাল নাই,
নাই আজ হারিকেন ও নাই কেরোসিন
সবকিছু যেন আজ হাওয়ায় বিলীন।
মাটে-ঘাটে খেলা নাই
বৈশাখী মেলা নাই
ঠেলা গাড়ি ঠেলা নাই
নেই সেই চির চেনা জারি সারি গান
এই কথা মনে হলে কেঁদে ওঠে প্রাণ ।
কাঠের ঐ ঢেঁকি নাই
চিঠি লেখা-লেখি নাই
আধুলি ও সিকি নাই
নেই সেই রুমাল আর নেই কারুকাজ
হারানোর শোকে তাই চোখে জল আজ।
রাতে বর যাওয়া নেই
পাটি পেতে খাওয়া নেই
বিয়ে গীত গাওয়া নাই
নেই মাটি কলস আর নেই তার জল
সে ব্যথায় চোখ দুটি করে টলমল।
শিয়ালের ডাক নাই
শকুনের ঝাঁক নাই
হুক্কা তামাক নাই
নাই সেই গরুগাড়ি লাঙ্গল আর মই
মন বলে আহা সব কই গেল কই!
মাটির ঐ হাড়ি নাই
বেয়ারিংয়ের গাড়ি নাই
নন্দিনি শাড়ি নাই
নাই সেই স্মৃতি মাখা ইকোনো কলম
ভাবতেই হায় হায় যায় যায় দম ।
কূপের ঐ পানি নাই
কুলুদের ঘানি নাই
সেই মেজবানি নাই
পাটের ঐ শিকাটা ও নাই আজকাল
“নাই “ঝড়ে জীবন আজ বড় নাজেহাল।
কবাডি হাডুডু নাই
কুতকুত ও লুডু নাই
ভিউকার্ডে ফটো নাই
নাই সেই জলে ভাসা কসকো সাবান
মনে হলে বুকে বাজে বিরহের গান ।
লোকে লোকে মিল নাই
বিল যেন বিল নাই
পাটা আর শীল নাই
চুড়ি আর ফিতা দিয়ে নাই সেই সাজ
নাই নাই করে শেষ আগের সমাজ।
- নাই নাই
ফেরদৌস আহমেদ