মার্কিন নির্বাচনের বাকি আছে হাতেগোনা কয়েক দিন। এরই মধ্যে জমে উঠেছে প্রার্থীদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে- অনুমান করাই বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে।
সম্প্রতি জনমত জরিপগুলোতে দেখা গেছে, বেশ কিছু জরিপে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। এছাড়া শনিবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিউইয়র্ক টাইমস ও সিয়েনা কলেজের চালানো সর্বশেষ জাতীয় জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্প ও কমলা সমান সমান অবস্থানে রয়েছেন। আর ট্রাম্পের এই শক্ত অবস্থান ডেমোক্র্যাট শিবিরের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই প্রার্থীই ৪৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। নির্বাচনের আগের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়টায় একের পর এক অভিযোগের পাহাড় ডিঙিয়ে জনপ্রিয়তায় হ্যারিসের কাতারে চলে এসে ট্রাম্প শুধু নিজের অবস্থানই শক্ত করেননি, রিপাবলিকান শিবিরেও নিয়ে এসেছেন স্বস্তির পরশ।
ডেমোক্র্যাট শিবিরের জন্য উদ্বেগের একটি মূল কারণ হলো- সর্বশেষ জরিপে ডেমোক্র্যাটদেরও ঘাঁটি মিশিগান, উইসকনসিন ও পেলসিলভানিয়ার মতো রাজ্যেই শুধু ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা বাড়েনি বরং কৃষ্ণাঙ্গ ও লাতিন ভোটারদের মধ্যেও ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। তাই ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে জিততে হলে কমলাকে ডেমোক্র্যাটদের চেনা গন্ডির বাইরে গিয়ে ভোটারদের নিজের ঝুলিতে টানতে হবে। পাশাপাশি ২০২০ সালে বাইডেনের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা ভঙ্গুর জোটকেও সমানভাবে সামলাতে হবে।
তবে জনমত জরিপ যা-ই হোক, নির্বাচনে হোয়াইট হাউজের গদি দখল করতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছেন না দুই প্রার্থীর কেউই। প্রচারণার শেষ সময়টায় দোদ্যুলমান রাজ্যগুলোর ভোটার টানতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
কমলা হ্যারিসের সমর্থনে বৃহস্পতিবার ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্য জর্জিয়ায় হাজার হাজার লোকের সমাবেশে অংশ নেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ২০২৪ সালের নির্বাচনে জর্জিয়াকে অন্যতম দোদুল্যমান রাজ্য হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ, বিজয়ী নির্ধারণে সহায়তা করতে পারে এমন রাজ্যের মধ্যে জর্জিয়া অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। সেখানকার সমর্থকদের ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের বিজয়ী করতে দ্রুত আগাম ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান কমলা হ্যারিস। পাশাপাশি ভোটে ট্রাম্পকে প্রত্যাখ্যান করারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার আরিজোনা অঙ্গরাজ্যে নির্বাচনি সমাবেশ করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই নির্বাচনি সমাবেশে অভিবাসীদের সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, ‘আমরা একটি আবর্জনা ফেলার জায়গায় পরিণত হয়েছি। বাকি বিশ্বের জন্য আমরা একটি ময়লার ভাগাড়।’